Labels

Saturday, July 27, 2013

Shohortoli


আসাদের খোলা চিঠি
শিরোনাম: আসাদের খোলা চিঠি
কবিতা: বারবারা বিডলার কে (আসাদ চৌধুরী)
কথা: তপন
সুর: মিশু খান
কন্ঠঃ মিশু খান
আবৃতিকারঃ গালিব আজিম
ব্যান্ডঃ শহরতলী
অ্যালবামঃ নিয়ন আলোয় স্বাগতম

বারবারা

ভিয়েতনামের উপর তোমার অনুভূতির তর্জমা আমি পড়েছি-

তোমার হৃদয়ের সুবাতাস
আমার গিলে-করা পাঞ্জাবিকে মিছিলে নামিয়েছিল
প্রাচ্যের নির্যাতিত মানুষগুলোর জন্যে অসীম দরদ ছিল সে লেখায়
আমি তোমার ওই একটি লেখাই পড়েছি
আশীর্বাদ করেছিলাম,
তোমার সোনার দোয়াত কলম হোক।
আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে বারবারা, এখন তুমি কেমন আছ ?
নিশ্চয়ই তুমি ডেট করতে শিখে গেছ।
গাউনের রঙ আর হ্যাট নিয়ে কি চায়ের টেবিলে মার সঙ্গে ঝগড়া হয় ?
অনভ্যস্ত ব্রেসিয়ারের নিচে তোমার হৃদয়কে কি চিরদিন ঢেকে দিলে।
আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে বারবারা।
তোমাদের কাগজে নিশ্চয়ই ইয়াহিয়া খাঁর ছবি ছাপা হয়-
বিবেকের বোতামগুলো খুলে হৃদয় দিয়ে দেখো
ওটা একটা জল্লাদের ছবি
পনেরো লক্ষ নিরস্ত্র লোককে ঠাণ্ডা মাথায় সে হ্ত্যা করেছে
মানুষের কষ্টার্জিত সভ্যতাকে সে গলা টিপে হত্যা করেছে
অদ্ভুত জাদুকরকে দেখ
বিংশ শতাব্দীকে সে কৌশলে টেনে হিঁচড়ে মধ্যযুগে নিয়ে যায়।
দেশলাইয়ের বাক্সের মতো সহজে ভাঙে
গ্রন্থাগার, উপাসনালয়, ছাত্রাবাস,
মানুষের সাধ্যমত ঘরবাড়ি
সাত কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের ফুলকে
সে বুট জুতোয় থেতলে দেয়।
♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____♫______♫

কত দু:খ কত কষ্ট মিলে আছে নিরবতা

ভালোবাসার তুমি সেই কবিতা

♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____♫______♫
তবু আমার ছবিটা দেখেছ বারবারা ?

গির্জার ধর্ষিতা সোফিয়া লোরেনকে দেখে নিশ্চয়ই কেঁদেছিলে

আমি কাঁদিনি, বুকটা শুধু খাঁ খাঁ করেছিল-
সোফিয়া লোরেনকে পাঠিয়ে দিয়ো বাংলাদেশে
তিরিশ হাজার রমণীর নির্মম অভিজ্ঞতা শুনে
তিনি শিউরে উঠতেন।
অভিধান থেকে নয়
আশি লক্ষ শরণার্থীর কাছে জেনে নাও, নির্বাসনের অর্থ কী ?
জর্জ ওয়াশিংটনের ছবিওলা ডাকটিকেটে খোঁজ থাকবে না স্বাধীনতার
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কাছে এসো-
সাধু অ্যাবের মর্মর মূর্তিকে গণতন্ত্র আর মানবতার জন্য
মালির ঘামে ভেজা ফুলের তোড়া দিয়ো না-
নিহত লোকটি লজ্জায় ঘৃণায় আবার আত্মহত্যা করবে।
বারবারা এসো,
রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই
বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি
অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই,
সংগঠিত হই জল্লাদের শাণিত অস্ত্র
সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে,
সংগীত ও চিত্রকলাকে ধ্বংস করার পূর্বে
ছাড়পত্রহীন সূর্য কিরণকে বিষাক্ত করার পূর্বে
এসো বারবারা বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।

♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____♫______♫
কত দু:খ কত কষ্ট মিলে আছে নিরবতা

ভালোবাসার তুমি সেই কবিতা

রাখা বিষাদ রাখা ক্ষুধা
ছুয়ে যাওয়া ক্ষীন আশা
অবরুদ্ধ তুমি আবেগী দিনের ছবিটা
এইতো স্মৃতির পাথরে
হাতুরে শাবলের ফলা
বিবেকের চিঠি হাতে
ঠিকানাটা স্বাধীনতা


ফেলানী
গানঃ ফেলানী’২০১১
কন্ঠঃ মিশু খান
আবৃতিকারঃ সোহাগ
কথাঃ গালিব আজিম
সুরঃ মিশু খান
ব্যান্ডঃ শহরতলী
কবিতাঃ বাতাসে লাশের গন্ধ (রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ)
অ্যালবামঃ হাতিয়ার



একটা রাইফেল, একটা সীমান্ত।
একটা ভিনদেশী বুলেটের আততায়ী অনুপ্রবেশ।
কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে কিশোরীর লাশ!
ধর্ষিত পতাকায় আমার অক্ষম বর্ধিত দীর্ঘশ্বাস
ফেলানী -
আমার ভৌগলিক সীমান্তে লুণ্ঠিত জাতীয়তা।
কাঁটাতারে গেঁথে রাখা ভণ্ডামির মানবতা।
ফেলানী -
আমার কুৎসিত মৈত্রী সমৃদ্ধির বেশ্যা প্রবৃত্তি।
ভাড়ামির বন্ধুতার দায় দণ্ডিত জাতির পতাকা।

তবু জেনে রাখিস ফেলানী, বন্ধুত্ব করেছিলাম ভালোবাসায়।
একাত্তরের অভিধান আমি এখনো বেঁচেনি


♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____♫______♫
কবিতার অংশঃ
“আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই,
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতর-
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত,
সেই রক্তাক্ত সময়?

রক্তের কাফনে মোড়া কুকুরে খেয়েছে যারে,
শকুনে খেয়েছে যারে; সে আমার ভাই, সে আমার মা,
সে আমার প্রিয়তম পিতা।

স্বাধীনতা -
এ কি তবে নষ্ট জন্ম?
এ কি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল?
জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন!

বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
………………………………..”

♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____♫______♫
ফেলানী আমার
তোর জীবনের দামে চুপ মেরে থাকে দেশের সম্ভ্রম
আমিও ওদের মতো নির্লজ্জ জনগন
ফেলানী আমার,তোর জীবনের দামে
তবু চুপ মেরে থাকে দেশের সম্ভ্রম
আমিও ওদের মতো নির্লজ্জ জনগন

আমায় ক্ষমা করিস ফেলানী
১৪কোটি জনগন তোকে বাঁচাতে পারেনি

0 comments:

Post a Comment